হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল (১৯৬৮-২০২৪)। ছবি: সংগৃহীত
যতটা ভালোবাসা প্রাপ্য ছিল, ততটা পাননি জুয়েল। যতটা মনোযোগ, সমাদর, সম্মান তিনি পেয়েছেন, তারচেয়ে সামান্য বেশি তাকে দেওয়াই যেত। সামান্য, বেশি কিছু নয়। বেশি কিছু চাননি শিল্পী জুয়েল। আমরাও দিতে পারিনি। কারণ স্পষ্ট।
বিনোদন অঙ্গণ একটা অস্থির মঞ্চ। সবচেয়ে বেশি আলো ও শব্দ নিয়ে যিনি সামনে থাকবেন, মানুষগুলো তার দিকেই মুখ ঘুরিয়ে রাখে। আগে কে কে আলো ছড়িয়ে গেছে, কে কে মন রাঙিয়ে গেছে, তাদের কথা খুব কমই মনে রেখেছে মানুষ। জুয়েলকেও তাই ভুলে গিয়েছিল অনেকে। অথচ তার গানগুলো একসময় বাজতে শোনা যেত ব্যান্ডক্লান্ত শ্রোতাদের কারো কারো বাড়িতে।
হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল একটি বিশেষ কারণে একই সঙ্গে সৌভাগ্যবান এবং দুর্ভাগা। কারণটি হচ্ছে, গানের ভুবনে তাকে হাত ধরে টেনে এনেছিলেন বাংলা সংগীতাঙ্গনের এক জাদুকর – আইয়ুব বাচ্চু। শুরু থেকে জুয়েলকে, জুয়েলের কণ্ঠ, গানের কবিতাগুলোকে আলাদা করা যেত। কবিতার সঙ্গে সুরের, তার স্বরের ও সুরযন্ত্রের যে বন্ধুতা, সেটার পেছনের কারিগর ছিলেন বাচ্চু।
ধরা যাক ‘এ কোন ব্যাথায় বুক ভেঙে যায় / কখনও বোঝোনি তুমি / এক নীড় ভাঙা পাখি একাকী কাঁদে / কখনও শোনোনি তুমি / কতটা ব্যাথা পেয়ে কেঁদেছি এই আমি কী করে তোমাকে বোঝাই …’ গানটির কথা। সৈয়দ আওলাদের লেখা গীতিকবিতায় সুর দিয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। সংগীতা থেকে বের হওয়া ‘বেশি কিছু নয়’ অ্যালবামের এই গানটি যারা শুনেছেন, তারা হয়তো একমত হবেন যে, সত্যিকারের বুক ভাঙা এক প্রেমিকের স্বর শুনেছেন তারা। কৃতিত্ব আইয়ুব বাচ্চুর।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স